"হাদীস শরীফ বাংলা মর্মবাণী" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: সাহাবা। নবীজীর (স) সহযােদ্ধা। যারা ছিলেন নবীজীর (স) বাণীর ধারক। যারা শান্তি ও সাম্যের বাণী নিয়ে ঘর ছেড়ে ছড়িয়ে পড়েছিলেন দেশ-দেশান্তরে। মানুষকে মুক্ত করেছিলেন সাম্রাজ্যবাদী শােষণের হাজার বছরের জাঁতাকল থেকে। সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসস্তুপের ওপর যারা উড্ডীন করেছিলেন সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিকতার পতাকা। যাদের শতকরা ৯০ জনই মৃত্যুবরণ করেছিলেন জন্মভূমি থেকে অনেক দূরে। সাহাবার পরের প্রজন্ম তাবেঈন। তার পরের প্রজন্ম তাবে-তাবেঈন। যারা নবীজীর (স) সত্যজ্ঞান ধারণ করে গড়ে তুলেছিলেন এক আলােকোজ্জ্বল সভ্যতা। সত্যানুসন্ধানে যাদের অক্লান্ত মেহনতের ফসল হচ্ছে হাদীসের লিখিত রূপ। তারপর প্রজন্মের পর প্রজন্ম। শতাব্দীর পর শতাব্দী। নিবেদিতপ্রাণ মুহাদ্দিসদের হাদীস জ্ঞানের অংশবিশেষের বাংলা মর্মান্তরই হচ্ছে ‘হাদীস শরীফ বাংলা মর্মবাণী।

ধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে শুদ্ধাচার আর অধর্মের ফলিত রূপ হচ্ছে দুরাচার। আপনার আচারই বলে দেবে আপনি ধার্মিক, না অধার্মিক। আসলে ধার্মিক যেমন দুরাচারী হতে পারে না, তেমনি দুরাচারীও কখনাে ধার্মিক বলে গণ্য হতে পারে না। শুদ্ধাচারী হতে হলে প্রথম প্রয়ােজন। ব্যক্তির আচার-আচরণে করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা। বর্তমান। সংকলনে এ ধারণাগুলােই দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে—সুস্পষ্টভাবে, সাবলীল ভাষায়। এগুলাে আন্তরিকতার সাথে যিনিই অনুসরণের চেষ্টা করবেন, নিঃসন্দেহে তিনি হয়ে উঠবেন পরিশীলিত ভালাে মানুষ। তিনিই হয়ে উঠবেন শুদ্ধাচারী। পড়ন। পরিবার থেকে শুরু হােক। শুদ্ধাচার চর্চা। ছড়িয়ে পড়ুক সমাজে।

বাংলা ভাষায় সর্বাধিক পঠিত নন ফিকশন যাতে আছে সাফল্য, নিরাময়, প্রশান্তি ও প্রাচুর্যলাভের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার বিবরণ। লেখক গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক। অতীন্দ্রিয় জগতের প্রবাদ পুরুষ মহাজাতক এ বইটিতে তার সুদীর্ঘ সাধনার ফসল তুলে দিয়েছেন। চর্চা করে যে কেউই লাভ করতে পারে প্রশান্তি, সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা। কোয়ান্টাম মেথড প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় বইটির পর পর পাঁচটি মুদ্রণ। ১০০ তম কোর্সপূর্তির অভিজ্ঞতার আলোকে ২০০০ সালে প্রকাশিত হয় এ বইয়ের পরিবর্ধিত সংস্করণ। পড়ুন। এ এমন এক বই যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।

অটোসাজেশন বা নিজে নিজে কথার বৈজ্ঞানিক প্রভাব নিয়ে এখন আর কোনো সংশয় নেই। ফরাসী মনোবিজ্ঞানী ডা. এমিল কোয়ে সর্বপ্রথম নিরাময়ের কাজে অটোসাজেশনকে ব্যবহার করেন। নিজের প্রতিষ্ঠিত সাইকোথেরাপির ক্লিনিকে ১৯১০ থেকে ১৯২৬- এই ১৬ বছর একটানা তিনি স্রেফ অটোসাজেশন প্রয়োগ করেই সারিয়ে তুলেছিলেন হাজার হাজার মাইগ্রেন, বাতব্যথা, অ্যাজমা, প্যারালাইসিস, তোতলামি, টিউমার, গ্যাস্ট্রিক, আলসার ও অনিদ্রার রোগীকে। রোগীদের তিনি প্রতিদিন সকাল ও বিকাল দুবেলা একাগ্র মনোযোগ দিয়ে যে বাক্যটি বলতে বলতেন তাহলো 'ডে বাই ডে ইন এভরি ওয়ে আই অ্যাম গেটিং বেটার অ্যান্ড বেটার'। প্রতিদিন ২০ বার বলতে বলতেই একসময় রোগীরা দেখতেন তাদের রোগ উধাও। ৮০ র দশকে বাংলাদেশে মনোশক্তি বিকাশের বৈজ্ঞানিক চেতনা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে কোয়ান্টামের। বাংলাভাষায় অটোসাজেশনকে কোয়ান্টামই প্রথম সুবিন্যস্ত এবং সুপরিকল্পিতভাবে অনুশীলনের প্রক্রিয়ার সূচনা করে। বাংলাভাষায় ১০০১ টি অটোসাজেশন নিয়ে ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘জীবন বদলের চাবিকাঠি’ অটোসাজেশন বইটি। আর ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় এর ইংরেজি ভাষান্তর "1001 Autosuggestions : To Change Your Life". অটোসাজেশনের এই বাণী এখন ছড়িয়ে যেতে পারে সারা পৃথিবীতে।

There’s no more doubt about the scientific power of autosuggestion. French psychologist Dr. Émile Coué was the first to use it for healing. From 1910 to 1926, in his psychotherapy clinic, he cured thousands suffering from migraine, arthritis, asthma, paralysis, stammering, tumors, gastric issues, ulcers, and insomnia—using only autosuggestion. He told patients to repeat with full focus, morning and evening: “Day by day, in every way, I am getting better and better.” Saying it 20 times daily, patients began to heal. In the 1980s, Quantum introduced autosuggestion in Bengali as a structured and scientific method for mental development. In 2009, the book “Jibon Bodler Chabikathi” was published with 1001 Bengali autosuggestions. Its English version “1001 Autosuggestions: To Change Your Life” followed in 2010. These powerful words can now reach the whole world.

আধুনিক নর-নারীর মনোদৈহিক সুস্থতা ও সৌন্দর্যের প্রয়োজনকে সামনে রেখে দীর্ঘ দুই যুগের পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফসল ‘কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্য চর্চা’ প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। লেখিকা নাহার আল বোখারী। ২০১৪ সালে এর একদশক পূর্তিতে প্রকাশিত হয় পরিমার্জিত সংস্করণ 'রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা'।

দুদশক ধরে কোয়ান্টাম মেথড চর্চা করতে গিয়ে হাজারো মানুষের অসংখ্য প্রশ্নের জবাবের সংকলন হচ্ছে কোয়ান্টাম: হাজারো প্রশ্নের জবাব। পড়লে আপনার কৌতূহল ও জানার আগ্রহ পাবে পূর্ণতৃপ্তি। আপনি উপলব্ধি করবেন জীবনের আসল সত্য। লাখো লাখো মানুষের মতো আপনিও বলবেন, আমিও বিশ্বাস করি, আমিও পারি।

একটাই তো জীবন। যা কিছু অর্জন, যা কিছু প্রাপ্তি, তাতো এই জীবনেই করতে হবে। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার অর্থ পেশাগত জীবনের চূডান্ত অর্জনের পরীক্ষিত সূত্রগুলোই বেরিয়ে এসেছে শত শত প্রশ্নের উত্তরে।এই প্রশ্ন উত্তরের সংকলিত রূপই হচ্ছে হাজারো প্রশ্নের জবাব ২ । শিক্ষা-ক্যারিয়ার-সাফল্য।

'প্রেম বিয়ে পরিবার' পর্বটি 'হাজার প্রশ্নের জবাব' শীর্ষক গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতকের প্রশ্নোত্তর বইটিরই তৃতীয় পর্ব। ২০১২ সালের জুন এবং জুলাই মাসে যথাক্রমে প্রথম (মেডিটেশন) ও দ্বিতীয় পর্ব (সাফল্য) প্রকাশের দীর্ঘ ছয় বছর পর প্রকাশিত হলো তৃতীয় এই পর্বটি। বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে, সন্তান এবং পরিবার সম্পর্কিত হাজারো মানুষের হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর নিয়ে গ্রন্থিত এই বইটি বর্তমান যুগের প্রয়োজন পূরণে এক অনবদ্য প্রকাশনা। বইটির ওপর একটি প্রমো ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।

পবিত্র কোরআনের ৩০ তম পারা বা আমপারার ৩৭টি সূরা এবং সূরা ফাতিহা ও আরও ৭টি সূরা নিয়ে মোট ৪৫টি সূরার বাংলা মর্মবাণী প্রকাশ করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। আমপারার সূরাগুলোর পাশাপাশি সপ্ত সূরায় রয়েছে সূরা লোকমান, সূরা ইয়া-সীন, সূরা ফাতাহ, সূরা হুজুরাত, সূরা আর রাহমান, সূরা ওয়াকিয়া ও সূরা মূলক। এরই সঙ্গে সবার শুরুতে রয়েছে সূরা ফাতেহা ও সবার শেষে আয়াতুল কুরসির বাংলা মর্মবাণী। রয়েছে শ্রদ্ধেয় গুরুজীর একটি সূচনা বক্তব্য।

আল কোরআন : বাংলা মর্মবাণী। পবিত্র কোরআনের সরল বাংলা মর্মানুবাদ। প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ১ লা রমজান। আসলে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে কোরআনের গুরুত্বকে অনুধাবন করেই মায়ের ভাষায় এর মর্মবাণী প্রকাশের এই উদ্যোগ। কারণ আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি করে প্রেরণের সাথে সাথে সে যাতে সঠিক পথে চলতে পারে সেজন্যে পাঠিয়েছেন যুগে যুগে তার বাণীবাহকদের। আর এ বাণীরই সর্বশেষ রূপ আল কোরআন। আল্লাহর কালামের এ মর্মবাণীতে আন্তরিকভাবে নিমগ্ন হোন, বার বার পড়ুন, ডুবে যান শব্দের গভীরে, বাক্যের গভীরে। কোরআনই কথা বলবে আপনার সাথে, আপনিও বদলাতে শুরু করবেন ভেতর থেকে।প্রথম যুগের কোরআন অনুসারীদের মতো আপনিও দুনিয়ায় সফল ও সম্মানিত হবেন।

আল কোরআন : বাংলা মর্মবাণী। পবিত্র কোরআনের সরল বাংলা মর্মানুবাদ। প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালের ১ লা রমজান। আসলে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে কোরআনের গুরুত্বকে অনুধাবন করেই মায়ের ভাষায় এর মর্মবাণী প্রকাশের এই উদ্যোগ। কারণ আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি করে প্রেরণের সাথে সাথে সে যাতে সঠিক পথে চলতে পারে সেজন্যে পাঠিয়েছেন যুগে যুগে তার বাণীবাহকদের। আর এ বাণীরই সর্বশেষ রূপ আল কোরআন। আল্লাহর কালামের এ মর্মবাণীতে আন্তরিকভাবে নিমগ্ন হোন, বার বার পড়ুন, ডুবে যান শব্দের গভীরে, বাক্যের গভীরে। কোরআনই কথা বলবে আপনার সাথে, আপনিও বদলাতে শুরু করবেন ভেতর থেকে।প্রথম যুগের কোরআন অনুসারীদের মতো আপনিও দুনিয়ায় সফল ও সম্মানিত হবেন। আল্লাহর কালামের এ মর্মবাণীতে আন্তরিকভাবে নিমগ্ন হোন, বার বার পড়ুন, ডুবে যান শব্দের গভীরে, বাক্যের গভীরে। কোরআনই কথা বলবে আপনার সাথে, আপনিও বদলাতে শুরু করবেন ভেতর থেকে।প্রথম যুগের কোরআন অনুসারীদের মতো আপনিও দুনিয়ায় সফল ও সম্মানিত হবেন।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের রমজানে ফাউন্ডেশন থেকে শুধু মর্মবাণী নিয়ে প্রকাশিত হয় আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় এর পেপারব্যাক সংস্করণ। দুটি বিশেষ নিবন্ধ সংযোজিত হয়ে এর পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। আর ২০১৭ সালে আরবি সংবলিত পূর্ণাঙ্গ কোরআন প্রকাশের মধ্য দিয়ে সূচিত হলো কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিবেশনায় আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। প্রকাশের পর গত তিন বছরে এ কোরআনের লক্ষাধিক কপি পৌঁছে গেছে মানুষের হাতে যার বিক্রিলব্ধ পুরো অর্থ ব্যয় হয়েছে হক্কুল ইবাদের কাজে। এবারের কোরআনে বিশেষ সংযোজনের মধ্যে রয়েছে দুটি নতুন সূচি- সূরা নাজিলের ধারাক্রম ও স্থান সূচি এবং বিষয়ভিত্তিক আয়াত-সূচি। এছাড়া পরিশিষ্টে থাকা নিবন্ধ দুটি এবার সংযুক্ত হয়েছে গ্রন্থের শুরুতেই।

ভাঙো দুর্দশার চক্র। আলোকিত মানুষ গড়ার অগ্রপথিক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের অনবদ্য এই বইটি প্রকাশিত হয় অমর একুশে বইমেলা ২০১৭ উপলক্ষে। বাংলা ভাষায় জীবনধর্মী ও আত্ম উন্নয়নমূলক গ্রন্থের তালিকায় নিঃসন্দেহে এটি এক অনন্য সংযোজন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও সাক্ষাৎকারে লেখক অধ্যাপক সায়ীদের দৃঢ় প্রত্যয়ে বলা অগনিত শ্রোতার হৃদয়জয়ী বিশ্বাসের কথামালার সংকলন এই বই। যা তার অভিজ্ঞতাঋদ্ধ সম্পাদনায় হয়ে উঠেছে আলোকদীপ্ত বাক্যমালায়। বইটির প্রত্যেকটা বাক্যে জীবনের বাঁক বদলকারী চিন্তার অনেক খোরাক পাবেন আপনি। নিজেকে আবিষ্কার করবেন আত্মজাগরণের অভিযাত্রী হিসেবে।

বরেণ্য বিজ্ঞানী আল্লামা ড. এম শমশের আলীর রচনা সংকলন “ইসলাম বিজ্ঞান মেডিটেশন”। দুই দশকের বেশি সময় ধরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে যিনি দেখেছেন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে, নানা আঙ্গিকে; আমণ্ত্রিত হয়ে এসেছেন ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং আলোচনা করেছেন নানা বিষয়ে, যেখানে উঠে এসেছে ইসলামের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য যোগসূত্র এবং মেডিটেশনের চিরায়ত উপযোগিতার বিষয়টি। তার এ বৈচিত্রঋদ্ধ আলোচনাগুলোই সংকলিত হয়েছে এ বইটিতে। ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ঢাকায় বিশেষ একটি ওয়ার্কশপে আনুষ্ঠানিকভাবে এর মোড়ক উন্মোচন হয়। এতে লেখকসহ আরো উপস্থিত ছিলেন গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক এবং মাদাম নাহার আল বোখারী।

কোয়ান্টাম মেথড কোর্স করে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন বা আত্মশক্তিকে মানব কল্যাণে কাজে লাগিয়েছেন এমন সফল মানুষদের অনুভূতির সংকলন ‘কোয়ান্টাম ভাবনা ও সাফল্যগাথা’। উদ্বোধন হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২। অমর একুশে বই মেলায় আয়োজিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী।আরো উপস্থিত ছিলেন, আচার্য পরেশ চন্দ্র মন্ডল, কবি নুরুল হুদা, কবি বেলাল চৌধুরী এবং কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও মেলায় আগত অতিথিরা। ২২৪ পৃষ্ঠার এ বইয়ে বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান, অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, কবি শামসুর রহমান, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ সহ মোট ৫৬ জনের বিরল অনুভূতি পাঠকদের ধ্যানের শক্তি ও সাফল্য সম্পর্কে উদ্দীপনা যোগাবে।

‘কোয়ান্টাম ভাবনা ও সাফল্যগাথা’ দ্বিতীয় খণ্ড। বইমেলা- ২০১৬ উপলক্ষে প্রকাশিত হয় বইটি। এতে তিনভাগে সংকলিত হয়েছে মোট ৫৩টি প্রবন্ধ যার অধিকাংশই এর আগে কোথাও গ্রন্থবন্ধ হয় নি। প্রথম ভাগে আছে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ চিকিৎসাবিজ্ঞানী সমাজতাত্ত্বিক ধর্মবেত্তা কবি লেখক শিল্পীসহ সমাজের প্রায় সকল মতের পথের বিশিষ্টজনদের জ্ঞানগর্ভ উপলব্ধি নিয়ে ৩১টি প্রবন্ধ। দ্বিতীয় ভাগের ১১টি প্রবন্ধে আছে- যারা আমাদের ছেড়ে মহাজাগতিক সফরের পরবর্তী ধাপে যাত্রা করেছেন, তাদের কয়েকজনের সেবাব্রত কর্মময় জীবনভিত্তিক প্রতিবেদন। এবং তৃতীয় ভাগের ১১টি প্রবন্ধে আছে সাফল্যগাথা। কোয়ান্টাম চেতনার অনুসারী এক গুচ্ছ সফল মানুষের শূন্য থেকে পূর্ণতার ইতিবৃত্ত সংকলিত হয়েছে এই ভাগে। বইটি পড়তে পড়তে আপনিও ঋদ্ধ হয়ে উঠবেন তাদের জীবন-অভিজ্ঞতার আলোয়।

এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ বিষয়ে কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের এ্ই বইটি প্রকাশিত হয় ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ শুক্রবার, আর্ডেন্টিয়ার ওয়ার্কশপে।কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ কার্যক্রমের আলোচ্য বিষয়গুলো এ বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে রয়েছে কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাব আয়োজিত হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে বিশেষ বৈজ্ঞানিক সেমিনারে আলোচকবৃন্দের বক্তব্যের লিখিত রূপ। করোনারি হৃদরোগের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতা প্রতিরোধ ও নিরাময়ে সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ এই বইটিতে আরো যুক্ত হয়েছে হৃদবান্ধব খাদ্যতালিকা ও সুস্বাদু রেসিপি।

আকারের ক্ষুদ্রতায় আর বিষয়বস্তুর ব্যাপকতায় এক অভিনব প্রকাশনা কোয়ান্টাম কণিকা। আলোকিত জীবনের এরকম হাজারো সূত্র নিয়ে গ্রন্থিত এ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। সঠিক জীবনদৃষ্টির আলোয় উজ্জীবিত হতে এ বইটি এক অসাধারণ সহায়ক গ্রন্থ্।

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী, খ্যাতনামা মেডিকেল জার্নাল ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্য উপাত্তের আলোকে লেখা স্বাস্থ্য নিবন্ধ নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয় কোয়ান্টাম বুলেটিনে। সেগুলোরই সংকলন এই 'সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন'।

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী, খ্যাতনামা মেডিকেল জার্নাল ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্য উপাত্তের আলোকে লেখা স্বাস্থ্য নিবন্ধ নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয় কোয়ান্টাম বুলেটিনে। কর্মপ্রাণ চেতনায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে নির্বাচিত কিছু নিবন্ধের সংকলন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন, যেখানে প্রাসঙ্গিকভাবেই এসেছে স্বাস্থ্য, পরিবার, লক্ষ্য সংক্রান্ত কথামালা। ২০১৪ সালে প্রকাশিত এ সিরিজের প্রথম বই সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন।

আত্মনির্মাণের পথেই মানুষ তার মেধাকে বিকশিত করে, পরিণত হয় অনন্য মানুষে। আত্মনির্মাণ নিঃসন্দেহে বড় মাপের ব্যাপার। আর যে-কোনো বড় নির্মাণ বা স্থাপনার ভিত্তি হচ্ছে ছোট ছোট ইট। জীবন গড়ার ছোট ছোট কিছু ইটের গ্রন্থনাই আত্মনির্মাণ। লেখক মহাজাতক। দীর্ঘ সাংবাদিকতা ও কাউন্সেলিংয়ের অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন এ নিবন্ধগুলো। বৈজ্ঞানিক উপাত্তের শুষ্ক বিবরণীকে ছাপিয়ে যা হয়ে উঠেছে জীবন সঞ্জীবনী অমৃতবাণীতে।